Sale!

সুলতান মালিকশাহ সেলজুক ইগল

লেখক :
অনুবাদক :

আবদুর রশীদ তারাপাশী

প্রকাশক :

কালান্তর প্রকাশনী

কোয়ালিটি :

হার্ডকভার

পৃষ্ঠাসংখ্যা :

৩০০+

প্রচ্ছদ :

আবুল ফাতাহ মুন্না

প্রকাশকাল :

মার্চ ২০২১

সংস্করণ :

অক্টোবর ২০২২

ISBN :

978-984-96140-6-7

ক্যাটাগরি :
রেটিং :
(1 customer review)

৳ 300

SKU: Sultan Malik Shah Seljuk

পিতৃতুল্য উসতাজ ও উজিরে আজম নিজামুল মুলক তুসির শাহাদাতে জ্বলে উঠেছেন নিশাপুরের ইগল খ্যাত সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি। কাজবিনের সবুজ উপত্যকার আলমুত দুর্গ ঘিরে কৃষ্ণগহ্বরের মতোই জট পাকানো ফিতনার গোড়া উপড়ে ফেলতে পাঠিয়ে দেন আরসালান, বাদরান ও বারসাক নামের সিংহত্রয়ীকে। ওরা ছুটে চলছেন বিদ্যুদ্্গতিতে। টর্নেডো হয়ে আছড়ে পড়তে যাচ্ছেন হাসান ইবনু সাব্বাহর অভয়াশ্রমে। হাসানের নির্দেশে বেরিয়ে আসে কায়া বুজুর্গের নেতৃত্বে হাশিশের নেশায় মাতাল ফেদাইনবাহিনী। কিন্তু আরসালানদের ঝড়োগতির হামলায় প্রথমবারের মতো ছুটে যেতে থাকে তাদের হাশিশের নেশা। জীবনের বৃন্ত থেকে টপাটপ ঝরে পড়তে থাকে দুর্ধর্ষ প্রতিটি ফেদাইন। শেষপর্যন্ত পালিয়ে আশ্রয় নেয় আলমুত দুর্গে। কঠিন অবরোধের ফলে যখন দুর্ভেদ্য আলমুত ঝরে পড়বে পাকা আপেলের মতো, ঠিক তখন সংবাদ আসে মালিকশাহ পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। ফলে অবরোধ উঠিয়ে তাঁরা চলে যান নিশাপুরে; আর বেঁচে যায় আলমুত, বেঁচে যায় কৃষ্ণ ফিতনা।
এমন টান টান উত্তেজনাময়ী ঘটনাবলির সঙ্গে পাঠককে মাতিয়ে তুলবে আসলাম রাহির কালজয়ী এ উপন্যাস। অতএব, পাঠক ডুব দিতে পারেন সেই উত্তেজনার সমুদ্রে।

লেখক :
অনুবাদক :

আবদুর রশীদ তারাপাশী

প্রকাশক :

কালান্তর প্রকাশনী

কোয়ালিটি :

হার্ডকভার

পৃষ্ঠাসংখ্যা :

৩০০+

প্রচ্ছদ :

আবুল ফাতাহ মুন্না

প্রকাশকাল :

মার্চ ২০২১

সংস্করণ :

অক্টোবর ২০২২

ISBN :

978-984-96140-6-7

ক্যাটাগরি :
রেটিং :
(1 customer review)

1 review for সুলতান মালিকশাহ সেলজুক ইগল

  1. MD. SAIDUL ISLAM

    সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি
    প্রেক্ষাপট:
    আব্বাসি খিলাফতের নড়বড়ে অবস্থা দেখে ক্রুসেডাররা এশিয়ায় আসতে চাচ্ছিল। কিন্তু আলপ আরসালানের ছেলে, সাহসী বীর সুলতান মালিকশাহ সেলজুকির ভয়ে তারা সাহস করে উঠতে পারেনি। তিনি তার সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহীদের শক্ত হাতে দমন করেছিলেন। তিনি তাঁর সাথে পেয়েছিলেন একদল সাহসী কমান্ডারদের, যাঁরা মৃত্যুকে পরোয়া না করে টর্নেডো হয়ে শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন।
    সেই বীর সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি’র শাসন আমলের কিছু ঘটনার উপর ভিত্তি করে আসলাম রাহি রচিত উপন্যাস “সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি”। বইটির অনুবাদ করেছেন প্রবীণ লেখক ও অনুবাদক আবদুর রশীদ তারাপাশী।

    কেন্দ্রীয় চরিত্র:
    সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি: আলপ আরসালানের ছেলে। আলপের পরেই মালিকশাহ বাদশাহ হয়েছিলেন।

    নিজামুল মুলক তুসি: মুসলিম ইতিহাসে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত এক ব্যক্তি। তিনি ছিলেন সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নাম ছিল হাসান বিন আলী।

    কাশিমুদ্দৌলা: সুলতানের বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তিনিই সেই কাশিমুদ্দৌলা, যাঁর মহান পুত্র ইমাদুদ্দিন জিনকি ক্রুসেডারদের গতিমুখ পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। যাঁর দৌহিত্র নুরুদ্দিন জিনকি ক্রুসেডারদের ওপর আঘাত হেনে ভেঙে দিয়েছিলেন তাদের শক্তির মেরুদন্ড।

    আরসালান: সুলতানের প্রথমসারির কমান্ডারদের একজন। কাশিমুদ্দৌলার পরে তিনিই হয়েছিলেন সর্বাধিনায়ক।

    বাদরান, বারসাক: সুলতানের বাহিনীতে আরসালানের পরেই ছিল এই দুই কমান্ডারের অবস্থান।

    জুবাহ: এন্তাকিয়ার খ্রিষ্টান শাসক ফিরদাওয়ারসের এর মেয়ে। যিনি পরবর্তীতে আরসালানের স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেন।

    বইটি যেভাবে সাজানো:
    সুলতান মালিকশাহ সেলজুকির শাসন আমলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখক তাঁর এই বইটি সাজিয়েছেন। বইটির বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল সুলতানের কমান্ডার আরসালানের জীবনের গল্প। আরসালান সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করায়, হারাতে হয় তাঁর পরিবারকে। পরিবারের সবাইকে হারিয়েও তিনি সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেননি। তাঁর সারাটা জীবন তিনি সুলতানের সাথে যুদ্ধের ময়দানে অতিবাহিত করেন। আরসালান, বাদরান, বারসাক আর সর্বাধিনায়ক কাশিমুদ্দৌলাকে নিয়ে সুলতান তাঁর বিজয় অভিযান চালিয়েছিলেন। সুলতান কাশিমুদ্দৌলাকে হালবের গভর্নর নিযুক্ত করার পর তাঁর বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন আরসালান। আরসালান তাঁর বাহিনী নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহীদের উপর হিংস্র বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়েন। একটা পর্যায়ে রণাঙ্গনের বীর আরসালানের জীবনে আসেন এন্তাকিয়ার খ্রিষ্টান শাসক ফিরদাওয়ার্স এর মেয়ে জুবাহ। সুলতান যখন জানতে পারেন জুবাহ আরসালানকে পছন্দ করেন, তখন সুলতানের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে হয়। সুলতান যখন তাঁর সাম্রাজ্যের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে বিজয় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বাতিনিদের নেতা হাসান বিন সাব্বাহ তার আন্দোলন জোরদার করে তুলেছিল। সে তার ফেদায়ি আবু তাহিরকে দিয়ে নিজামুল মুলকে শহীদ করে। এরপর সুলতান হাসান বিন সাব্বাহর দুর্গ ও তার পাকানো ফিতনার গোড়া উপরে ফেলতে আরসালানের বাহিনীকে পাঠিয়ে দেন। আরসালান, বাদরান ও বারসাক ফেদাইনবাহিনীর উপর হামলা করে তাদের দুর্গ অবরোধ করে ফেলেন, ঠিক সে সময় সংবাদ আসে মালিকশাহ পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।

    বইটির ভাল-মন্দ দিক:
    ইতিহাস পড়তে গিয়ে অনেক সময় বিরক্তি চলে আসে। কিন্তু বইটি যেহেতু ইতিহাসের আলোকে উপন্যাস, তাই পড়তে তেমন জটিল মনে হয়নি। গল্পের ছলে বইটি থেকে অনেক ইতিহাস জানা যাবে। তবে এই বইয়ের দুটি দিক আমার ব্যক্তিগতভাবে ভাল লাগেনি।
    প্রথমত, বইটির নাম। এই বই সুলতান মালিকশাহ’র শাসন আমলের আলোকে হলেও সুলতানের জীবনী খুব কমই উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়েছে। সুলতানের চেয়ে তাঁর সেনাপতি আরসালানের আলোচনাই ছিল বেশি। এই দিক বিবেচনা করলে বইটির জন্য অন্য কোনো নাম নির্ধারণ করাটাই উত্তম হত বলে আমি মনে করি।
    দ্বিতীয় যে বিষয় তা হল, লেখক কয়েকবার জুবাহ’র যে সুন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন তা অন্যভাবে দিলেও পারতেন।
    এই দুইটি বিষয় ছাড়া আর কোনো মন্দ দিক আমি লক্ষ্য করিনি।

    প্রচ্ছদ ও পৃষ্ঠাসজ্জা:
    কালান্তরের অন্যান্য বইয়ের মত এই বইয়েরও প্রচ্ছদ যথেষ্ট সুন্দর হয়েছে। বইটির পৃষ্ঠাসজ্জা খুব ভাল হয়েছে, অতিরিক্ত কোনো জায়গা নষ্ট করা হয়নি।

    অনুবাদ:
    প্রবীণ লেখক ও অনুবাদক আবদুর রশীদ তারাপাশী বইটিকে এমন ভাবে অনুবাদ করেছেন যা পড়ে কখনও মনে হবেনা এটি অনুবাদ গ্রন্থ। বইটি পড়ে একটি মৌলিক বইয়ের মতই মনে হয়েছে।

    বইয়ের নাম: সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি
    লেখক: আসলাম রাহি
    ভাষান্তর: আবদুর রশীদ তারাপাশী
    প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
    মুদ্রিত মূল্য: ৳৩০০
    প্রকাশকাল: মার্চ ২০২১

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.