মহান আল্লাহ কিছু মানুষকে নেতৃত্বের অসাধারণ যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেন। সেই যোগ্যতার মাধ্যমে তাঁরা মানবহৃদয়ে লুকিয়ে থাকা জ্বলনোন্মুখ অঙ্গারকে মুহূর্তেই স্ফুলিঙ্গে পরিণত করতে পারেন। সুপ্ত চেতনাকে আন্দোলনে রূপ দিতে পারেন; যা দ্বারা একটি সফল বিপ্লব সাধিত হয়।
হ্যাঁ, আন্দোলন-সংগ্রামে অনেকের উপস্থিতি থাকে; কিন্তু আন্দোলনের জন্য তাদের কে উদ্ বুদ্ধ করল? কে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাল? উম্মাহর জন্য নিজের ধনসম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা কে তৈরি করল? আরও এগিয়ে বলতে হবে-অনুসৃত রাস্তা তাদের কে দেখাল? তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কে স্থির করে দিলো?
উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করা হলে অবশ্যই এমন এক মহান ব্যক্তির কথা বলতে হবে, যাঁর মধ্যে এসব গুণ সৃষ্টিগতভাবে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। যাঁর আত্মপ্রকাশ মানুষের সৌভাগ্য বিবেচিত হয়। আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁর উপস্থিতি সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।
তুরস্কের রাজনীতির ইতিহাসে নানা বাঁকবদল ঘটেছে সময়ে সময়ে। উসমানি খিলাফতের গোড়াপত্তনকারী উসমান ইবনু এরতুগরুল থেকে শুরু করে শেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মাজিদ পর্যন্ত তুরস্ক যে চড়াই-উতরাই প্রত্যক্ষ করেছে, সে ইতিহাস পৃথিবীর মানচিত্রে সত্যিই বিরল। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ সেই ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্ব-আতাতুর্ক থেকে শুরু করে এরদোগানের রাজনীতি নিয়ে লেখা। এ ছাড়া উসমানি খিলাফতের শেষ দিকের বেশ কিছু আলোচনা গ্রন্থটিতে স্থান পাওয়ায় আমরা এর নাম উসমানি খিলাফত থেকে এরদোগান: আধুনিক তুরস্কের ইতিহাস রেখেছি।
Reviews
There are no reviews yet.
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.