Sale!

হুসাইন ইবনু আলি রা.

(1 customer review)

৳ 165

Description

হুসাইন রা. ভালোবাসার তাজমহল। শ্রদ্ধার রাজপুত্র। নাম শুনলেই অন্তরে ভালোবাসার জোয়ার ওঠে। সাইয়িদুল ইনসি ওয়াল জান নবি মুহাম্মাদ সা.-এর দৌহিত্র। জান্নাতি মহিলাগণের সরদার মা ফাতিমা রা.-এর কলিজার টুকরো সন্তান।
মদিনায় জন্ম। মদিনায় বেড়ে ওঠা। রাসুল সা.-এর আদর-সোহাগে শৈশব কাটানো জান্নাতি যুবকদের সরদার। কারবালায় মৃত্যু।
কারবালা! কারবালা শুনলেই বেদনাহত হৃদয় আরও বেদনাবিধুর হয়ে পড়ে। মর্মান্তিক দৃশ্য ভেসে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। কারবালার আলোচনা শুনলে অশ্রু আপনাতেই গড়িয়ে পড়ে।
সোনার মদিনা থেকে কারবালার দূরত্ব প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার। পরিবার-পরিজন নিয়ে উটের পিঠে সওয়ার হয়ে তিনি এ দীর্ঘ কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। মরুভূমির বালুসাগর পাড়ি দিয়ে কেন গিয়েছিলেন কারবালায়? মদিনায় কি তাঁর কোনো কিছুর অভাব ছিল? নানাজানের রওজায়ে আকদাস ছেড়ে কারবালায় কেন গিয়েছিলেন? গিয়েছিলেন জালিম শাসকের কবল থেকে উম্মাহকে উদ্ধারের জন্য, নানাজানের প্রিয় দীনের হিফাজতের জন্য, খিলাফত রক্ষার জন্য। দুনিয়াবি পরিণাম-পরিণতির পরোয়া না করে শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি প্রিয় মদিনা থেকে সুদূর কুফার উদ্দেশে রওনা হন।
তারপরের কাহিনি কী ছিল, কেমন ছিল জানতে হলে পড়ুন হালজামানার বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ফকিহ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি লিখিত এ গ্রন্থ।

Additional information

পৃষ্ঠাসংখ্যা

১৬০

প্রচ্ছদ

আবুল ফাতাহ মুন্না

কোয়ালিটি

হার্ডবোর্ড বাঁধাই

প্রকাশকাল

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভাষা

বাংলা

দেশ

বাংলাদেশ

Author Picture

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন।

যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’।

ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন।

নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন।

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ, নিরাপদ ও সুস্থ জীবন দান করুন। আমিন।

—সালমান মোহাম্মদ লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক ২৪ মার্চ ২০২০

1 review for হুসাইন ইবনু আলি রা.

  1. মো : ফয়সাল আহমেদ

    হুসাইন (রা.)।
    ভালোবাসার তাজমহল। শ্রদ্ধার রাজপুত্র। নাম শুনলেই অন্তরে ভালোবাসার জোয়ার ওঠে। সাইয়িদুল ইনসি ওয়াল জান নবি মুহাম্মাদ (সা.) এর দৌহিত্র। জান্নাতি মহিলাগণের সর্দার মা ফাতিমা (রা.) এর কলিজার টুকরো সন্তান।

    ইসলামের এজন্য তিনি শহিদ হয়েছেন করবালার প্রান্তরে। মর্মান্তিক সে দৃশ্য। জালিম শাসকের কবল থেকে উম্মাহকে উদ্ধার করতে ছুটে গিয়েছিলেন প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে। লক্ষ্য শুধু একটিই, প্রিয় নানার আনিত দীনের হেফাজত ও খিলা ফত রক্ষা করা। কিন্তু কুফাবাসীর ওয়াদা ভঙ্গ, সেখানকার গভর্নরের উদ্যতপূর্ণ আচরণ ও ইয়াজিদ ইবনু মুয়াবিয়ার নিষ্ক্রয় অবস্থানের কারনে তিনি সেদিন হয়ে যান জান্নাতের সবুজ পাখি।

    আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু কথা আছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেগুলো মূলত শিয়া সম্প্রদায় ও বিষাদসিন্ধু থেকে আগত। শিয়াদের বিশ্বাস হলো খ্রিষ্টানদের মতো। খ্রিষ্টানরা যেমন ঈসা (আ.) এর প্রাণবিসর্জনকে পবিত্র মনে করে, তেমনি শিয়ারাও হুসাইন (রা.) এর শহিদ হওয়াকে পবিত্র মনে করে। এই ঘনার আগ পর্যন্ত তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবেই ছিল, পরবর্তীতে এটি তাদের আকিদা-বিশ্বাসে রূপ নেয়।

    বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে মূলত শিয়াদের প্রচার করা মতবাদ ও শহিদ হওয়ার সময়ের ঘটনাবলিই বলা হয়, যার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই। আর বিষাদসিন্ধু নামক উপন্যাস দ্বারাও বর্তমানের মুসলিম তরুন-তরুণীরা প্রভাবিত। এর প্রধান করান, কলেজ পর্যায়ের বাংলা বইয়ে একটি গল্প আছে বিষাদসিন্ধু অবলম্বনে। আমাদের এসব থেকে সাবধান হতে হবে।

    বইটিতে হুসাইন (রা.) এর শাহাদতের প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী ঘটনাবলী এবং তাঁর ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস আলোচিত হয়েছে। সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা থেকে পাঠক উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *